Author: nurit

স্বাভাবিক প্রসব একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া। তবে এর জন্য মাকে যেমন সুস্থ থাকতে হয়, তেমনি গর্ভস্থ সন্তানকেও হতে হয় সুস্থ-সবল। সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে যেসব শিশুর জন্ম হয়, তাদের স্বাভাবিক প্রসবের ধাপগুলো পেরোতে হয় না বলে কেউ কেউ ধারণা করেন, এসব শিশুর জন্মের সময় মাথায় আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। আর সে কারণেই হয়তো এই শিশুরা অন্যদের চেয়ে একটু বেশি বুদ্ধিমান হয়। আদতেই কি বিষয়টা ঠিক? চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে?ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. তাসনুভা খান বলেন, ‘একটি শিশু ঠিক কতটা বুদ্ধিমান হবে, অনেকগুলো বিষয়ের ওপর তা নির্ভর করে। গর্ভাবস্থায় মা সঠিক মাত্রায় আয়োডিন পেয়েছেন কি না, জন্মের পর…

Read More

প্রশ্ন: আমার বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) ১৫.৫, ওজন ৫১ কেজি। ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিন শেক নেওয়া কি স্বাস্থ্যসম্মত হবে? যদি হয়, তাহলে ভালো কয়েকটি প্রোটিন শেক সাজেস্ট করবেন কি? ফাহিম মুনতাসীর পরামর্শ: আপনার বিএমআই (একজন মানুষের আদর্শ ওজন নির্ণয়ের গাণিতিক পদ্ধতি) থাকা উচিত অন্তত ১৮.৫। তবে ওজন বাড়ানোর জন্য শুধু প্রোটিন শেকের ওপর নির্ভর করা ঠিক নয়। এতে আপনার লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন খাবার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন বাদাম, খেজুর, কলা ও বাটার দিয়ে মিল্কশেক খেতে পারেন। ওটস শেক, ভাতের মাড়, ঘি, দুধ, ডিম, অলিভ অয়েল, আলু, পান্তাভাত, পনির, শুকনা ফলমূল, হালুয়া—এসব খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন।…

Read More

লোকাল অ্যানেসথেসিয়া বলতে আমরা বুঝি এমন পদ্ধতি, যেখানে রোগীকে পুরোপুরি অচেতন না করে শুধু নির্দিষ্ট স্থান অবশ করা হয়; যাতে চিকিৎসা চলাকালে কষ্ট বা ব্যথা না হয়। ডেন্টাল চিকিৎসায় লোকাল অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহার বেশি হয়। দাঁতে ব্যথা, দাঁত তোলা, রুট ক্যানেল, ছোট-বড় অস্ত্রোপচার, ইমপ্ল্যান্ট, এমনকি ডিপ ফিলিংয়েও প্রয়োজন পড়ে বা ব্যবহৃত হয় লোকাল অ্যানেসথেসিয়া। এর ফলে ঠিকভাবে আধুনিক চিকিৎসা করা সম্ভব হয়, অসহনীয় ব্যথায় রোগীকে শান্ত রাখা যায়। কীভাবে কাজ করে স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট স্থানে ব্যথা অনুভূতির সঞ্চালন হয় বলেই আমরা ব্যথা পাই। লোকাল অ্যানেসথেসিয়াটিকসে বিশেষ ধরনের ওষুধ ব্যবহৃত হয়, যা স্নায়ুকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত সংকেত পাঠাতে বাধা দেয়। ফলে চিকিৎসা…

Read More

জিকা কী জিকা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় উগান্ডায় ১৯৪৭ সালে। ভাইরাসটি পাওয়া গিয়েছিল রেসাস ম্যাকাও বানরের শরীরে। পরবর্তী সময়ে পঞ্চাশের দশকে আফ্রিকান দেশগুলোয় মানুষের শরীরেও এই জীবাণু পাওয়া যায়। ভয়াবহ ব্যাপার হলো, ১৯৬০-১৯৮০ সালের মধ্যে আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম ধরা পড়ে ২০১৪ সালে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে পাঁচজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়, যদিও বিষয়টি সাধারণের অজানা ছিল। গত তিন মাসে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত আটজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। জিকার দুটি ধরন—এশিয়ান ও আফ্রিকান। বাংলাদেশে পাওয়া রোগের ধরন এশিয়ান, যা প্রায় ৯ বছর পর পাওয়া গেল। জিকা ভাইরাস আক্রমণ হলে মাথাব্যাথা হতে পারে…

Read More

আপনি কি স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কোমল পানীয় পান করা এড়িয়ে চলছেন? তবে আপনার জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে ব্যতিক্রমী এক কোলা। এতে প্রচলিত কোমল পানীয় তৈরিতে ব্যবহৃত ফসফরিক এসিড, ক্যাফেইন, কার্বন-ডাই অক্সাইড, কৃত্রিম চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় খেজুর। স্বাস্থ্যসচেতন কোমল পানীয়প্রেমীদের জন্য মিলাফ কোলা নামে এই পানীয় নিয়ে এসেছে সৌদি আরব। প্রাকৃতিক সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত খেজুর দিয়ে তৈরি মিলাফ কোলাতে স্বাদ ও পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি। নভেম্বরে রিয়াদ ডেট ফেস্টিভ্যালে এই পানীয়টির উদ্বোধন করেন সৌদি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রহমান আল ফাদলি ও থুরাথ আল মদিনা কোম্পানির সিইও বান্দার আল কাহতানি। সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান…

Read More

যে উদ্দেশ্যে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আমলাতন্ত্রের বেড়াজালে তা এখন প্রশ্নের মুখে। বই প্রকাশে রাজনৈতিক স্বার্থ ব্যবহার, পুরস্কারে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অভিযোগ, জনবল ও আর্থিক সংকট যেমন আছে- তেমনি স্বায়ত্বশাসিত হওয়ার কথা থাকলেও মূলত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাধারণ একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন বাংলা একাডেমি চলছে নির্বাহী পরিষদ পদাধিকারবলের ও মনোনীত সদস্যদের দিয়ে। ফেলো ও সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদ গঠনে আইন থাকলেও ২৫ বছর ধরে নির্বাচনই হয় না। ফলে একাডেমিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা-পরামর্শ, বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদনসহ নির্বাহী পরিষদের কাজ গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে হচ্ছে না এবং এর মাঝে নানান অনিয়মের সুযোগ বাড়ছে। বাংলা একাডেমির তথ্যমতে, নির্বাহী পরিষদের সবশেষ নির্বাচন হয়েছিল…

Read More

গণমানুষের অংশগ্রহণে গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারি ফ্যাসিস্ট সরকার যখন পতিত হয় তখন তাকে গণঅভ্যুত্থান বলা হয়। ৫আগষ্ট লাখো ছাত্রজনতার ঢাকা আগমনের মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান। গণরোষ থেকে হাসিনা প্রাণে বাঁচলেও ফ্যাসিজমের সকল স্থান, চিহ্ন গুড়িয়ে দেয় সাধারণ মানুষ। এই সাধারণই গণমানুষ। বাংলাদেশের সংবিধানে যাদেরকে ‘জনগণই সার্বভৌম’ বলা হয়েছে। ‘জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিতে’ রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের মালিকানা বলতে রাষ্ট্রের উপর সাধারণ মানুষের মালিকানার কথা বলা হয়। যাদের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করে। গত ১০ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচারি…

Read More

বাংলা একাডেমি কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক স্মরণে সেমিনারের আয়োজন করে। ‘হাসান আজিজুল হক : দেশভাগের অন্ধ সুরকার’শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহ্সান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকার আমিন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক মশিউল আলম ও কথাসাহিত্যিক ওয়াসি আহমেদ। এহ্সান মাহমুদ বলেন, হাসান আজিজুল হক দেশভাগের অন্ধ সুরকার। তিনি ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশের দেশভাগের ফলে মানবিক ও সামাজিক যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে প্রায় গোটা জীবন ধরে তার শিল্পিত বিবরণ লিখে গেছেন। তাঁর লেখায় দেশভাগের আগেকার যে রাঢ়বঙ্গের দেখা পাওয়া যায়, তারপরের বাংলাদেশের ঠিক ততোখানি দেখা…

Read More

বই ও প্রকাশনা শিল্পের বিকাশে কাজ করার ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও গ্রন্থমনস্ক জাতি গঠন’র লক্ষ্যে প্রায় ৫২ বছর আগে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এর যথাযথ কার্যক্রম কী, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই অনেকের। কারণ গত অন্তত দুই দশক ধরে ঢিমেতালে চলছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। বই ও প্রচ্ছদে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার, নতুন বই প্রকাশ ও বিক্রি এবং প্রদর্শনী কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে তারা। গত ১৪ নভেম্বর সকাল ১০টা নাগাদ সরেজমিনে গুলিস্তান মাজার সংলগ্ন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আগের সরকারের মতোই হকারের ভিড় মূল ফটকে। দূর থেকে বুঝার উপায় নেই প্রবেশ গেইট কোন দিকে। উপরে তলায়…

Read More

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এক যুগেরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে কেবল বাংলা ভাষা নয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন দেশের ভাষা নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করার কথা। কিন্তু তারা বিভিন্ন দিবস পালন, সেমিনার, পদক প্রদান, প্রশিক্ষণ, স্মরণিকা ও নিউজলেটারের মতো রুটিন কাজ করছে। গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজ দেখা যাচ্ছে না। ভারতের দিল্লির একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ভাষা নিয়ে ভালো কাজ করছে, তারা পারলে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কেন পারছে না’। গত বছর বাংলা ট্রিবিউনের কাছে এমন হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এই মন্তব্য করা অধ্যাপক বর্তমানে ইনস্টিটিউটটির পরিচালক। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও কার্যত ১০ বছর প্রায় নিষ্ক্রিয় ছিল…

Read More