বিভিন্ন জিনিসের দামের নিরিখে বোঝা যায়, কোন দেশে বসবাস বেশি দামি। তা বদলাতেও থাকে সময়ের সঙ্গে। নতুন রিপোর্ট কী বলছে, কোনও শহরে থাকার খরচ বেশি?
এক সময়ে হংকং কিংবা সাংহাইয়ে থাকা মানেই ছিল বেশ দামি যাপনের অভ্যাস। তবে দিন দিন সে সব ধারণা বদলাতেও থাকে। কারণ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উত্থান-পতনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিলাসবহুল জিনিসের মূল্য। ফলে সময়ের সঙ্গে বদলে বদলে যায় কোন শহরটিকে থাকার জন্য সবচেয়ে দামি বলে ধরা হবে।
এ সময়ে কোন দেশের কোন শহরে বসবাসের খরচ সবচেয়ে বেশি?
কোন শহরে অধিকাংশের যাপন সবচেয়ে বিলাসবহুল, তা নিয়ে সদ্য একটি সমীক্ষা চালানো হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, মুদ্রাস্ফীতি কোথায় কতটা হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা। আর তার সঙ্গেই বুঝে নেওয়া যাবে কোন কোন শহর এই মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।
এক কালে হংকং এবং সাংহাই ছিল সবচেয়ে বেশি বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্তদের শহর। টোকিয়োও তেমন আর একটি শহর। কিন্তু দেখা গেল, গত এক বছরে সে সব শহরে বিলাসবহুল জিনিসের দাম আরও বেড়েছে। লন্ডন, নিউ ইয়র্কের মতো বড় শহরেও বেড়েছে ডিজাইনার ব্যাগ, জুতো, পোশাকের দাম। নামী ব্র্যান্ডের ঘড়ির দাম অনেক ক্ষেত্রেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে থাকে না। ফলে বহু শহরে দামি ঘড়ি গিয়েছে নাগালের বাইরে।
তবে এখন প্রথম সারির শহর কোনগুলি?
সম্প্রতি সে সব কথা মাথায় রেখে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সংস্থা মূলত এক-একটি শহরের বাড়ি, গাড়ি, বিমানের টিকিটের দাম, এমবিএ ডিগ্রির খরচ, ডিজাইনার জিনিসের দামের নিরিখে সমীক্ষা চালায়।
সমীক্ষা শেষে দেখা গেল, এখনও শীর্ষ আসনে রয়েছে চিনের সাংহাই। তবে টোকিয়ো আর নেই দ্বিতীয় স্থানে। সেই জায়গা নিয়ে নিয়েছে লন্ডন। টোকিয়ো এখন অষ্টম স্থানে। নিউ ইয়র্ক একাদশ।
সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে ৮.৬ শতাংশ। ব্রিটেনে ৯ শতাংশ। দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত ধনীরাও এর দ্বারা সমস্যায় পড়েছেন। যাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই পোক্ত, তাঁরা হয়তো একটু সহজে সামলাতে পেরেছেন ধাক্কা। তবে ধাক্কা যে একেবারে লাগেনি, এমনও নয়। বিভিন্ন খাতে শেয়ারের দাম যত পড়েছে, বহু ধনী পরিবারের সামগ্রিক ধনের পরিমাণও খানিকটা করে কমে এসেছে।